বাউফলে কোস্টগার্ডের বিরুদ্ধে ইলিশ শিকারে সহায়তার অভিযোগ

বাউফলে কোস্টগার্ডের বিরুদ্ধে  ইলিশ শিকারে সহায়তার অভিযোগ

সাইফুল ইসলাম, বরিশাল লাইভ:   অবরোধে পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশ রক্ষায় এসে এক অজনা কারণে টহল না দিয়ে নিমদী লঞ্চঘাটে কেবল জাহাজ নোঙর করে রেখে জেলেদের ইলিশ শিকারে সহায়তা করার অভিযোগ ওঠেছে কোস্টগার্ডদের বিরুদ্ধে। এতে মা ইলিশ সংরক্ষন ব্যাহত হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা। নিমদী লঞ্চঘাটের এক সুপারভাইজার বলেন,‘ইলিশ রক্ষায় কোস্টগার্ডের ওই জাহাজটি নদীতে টহল দেওয়ার কথা থাকলেও ঘাটে নোঙর করে থেকে টাকা পয়সা-লেনদেনের মাধ্যমে নির্ভিগ্নে ইলিশ শিকারে জেলে নৌকা পাহাড়ার ভূমিকা পালন করছে জাহাজের কোস্টগার্ডের সদস্যরা। অদূরেই জেলেরা নৌকায় ইলিশ শিকার করলেও দেখে তারা না দেখার ভান করছে। অথচ লঞ্চঘাটের পন্টুনে লঞ্চ ঘাট দেওয়া  যাত্রি সাধারনের ওঠা নামায় বিঘœ ঘটাচ্ছে। আব্দুল কাদের নামে স্থানীয় একজন বলেন, ‘কোস্টগার্ডের সদস্যরা স্থানীয় কয়েকজন ও জেলেদের সঙ্গে সখ্যতা করে এই অবরোধে মোটা অঙ্কের টাকা কামাইতেছে। তেঁতুলিয়া নদীর অদূরে জেলেরা ইলিশ ধরছে আর ওনারা নদী পাহাড়া না দিয়া লঞ্চঘাটে নোঙর কইর‌্যা যাত্রিদের ওঠা নামায় কস্ট দিতেছে। এসব দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও করইর‌্যা এক ইন্টারনেটে ছাড়লেও তাদের টনক লড়ে নাই।’
    এ ব্যাপারে অভিযোগ অস্বীকার করে ওই জাহাজের দায়িত্বে থাকা কোস্টগার্ডের সিনিয়র প্যাডি অফিসার মো ওবায়দুল হক সাংবাদিককে  বলেন, ‘লঞ্চ ভিড়তে পন্টুনের অর্ধেকাংশ ছেড়ে দিয়ে আমাদের জাহাজ নোঙর করা হয়েছে। স্পিড বোর্ড না থাকায় জেলে নৌকা পাকরাও করতে সমস্যা ছিল। তবে আজ থেকে ভোলা অঞ্চল থেকে পাওয়া একটি স্পিড বোর্ডে তেঁতুলিয়া নদীর চন্দ্রদ্বীপ এলাকায় আমাদের সদস্যরা টহল দিচ্ছে।’